Skip to content

গৃহাকুল- আহমেদ জুয়েল

এই পথকে সঙ্গী করে,
কতকাল ধরে, কত জনকণ্ঠের ভীরে,
চলেছি একেলা পথ, তবুও পারিনি ফিরতে আমার কুড়ে ঘরে।
কি এক গভীর মায়ায় আচ্ছন্ন এ মন,
দুঃখ- দৈন্য, হতাশায় পরিবেষ্টিত নীড়,
তবুও তারই ভেতর এক চিলতে হাসি ঠোটের ফাঁকে করে ভীর।

খাটের ভাঙা পায়া, তেল চটচটে বিছানা,
চন্দ্রালোকিত কুটির, সাথে টিনের ফাঁক দিয়ে চুইয়ে পড়া বৃষ্টির জল,
অনবরত আমার কুড়ে ঘরে করে টলমল।
রাতভর ইঁদুরের ছোটাছুটি, আর ক্ষুধার্ত ইঁদুর ছানাদের চিঁ-চিঁ শব্দ।
আমিতো সবই দেখেছি, সবই শুনেছি,
সেটা এক অদ্ভুত তানপুরা।

শহরের যান্ত্রিক কোলাহলে নেই সেই সুর, আছে শুধু ধাতবস্বর।
ধাতবের সাথে ধাতবের ঘর্ষণ।
এখানে চন্দ্রালোক কৃত্রিম নিয়নের সাথে মিশ্রিত হয়ে এক বিশ্রী রঙ ধারণ করে।
প্রাণীকুল নির্মল অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরে।

ইদানীং বড্ড ইচ্ছে করে ফিরে যাই আমার ভাঙা কুড়ে ঘরে,
মাথা গুঁজে দেই মায়ের আঁচলের তলে,
ঝাঁপিয়ে বেড়াই কালিগঙ্গার জলে।
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে হারিয়ে যাই গভীর ঘুমের দেশে।

18/03/2018

মন্তব্য করুন