Skip to content

কথোপকথন ৩ – প্রেমদেবতা

কবিতায় বল, আজ না হয় হলে কবি আমার জন্যে…

কবি হতে দোষ নাই,
কিন্তু কবিতা বলতে দোষ আছে!!

বাহ।। সুন্দর বলেছ কবি

হুম…

তবুও শ্রোতা শুনতে চায় আরো…

আজ তোমার প্রতি নাই কোন অভিমান,
তাইতো করেছি নিজের সুখটাকে পরিত্রান।

তবুও তো সেই সুখ আমার তরে নয়,
রেখেছ যতনে তাহার জন্যে।

যদি চেয়েছিলে সেই সুখ,
তবে কেনইবা করেছিলে-
আমার এই শান্ত মনটাকে ভাবুক?
তোমার নিকষ কাল দীপ্তময় চোখ,
তোমার আড়ালে থাকা উঁকি দেয়া মুখ,
আমায় ভাবিয়েছে যে সারাটা রাত।

তাই…

যদি এমন না করতে তবে
হয়তবা তুমি আজ হতে না
এই মনের আগুন্তুক!!!

আগুন্তুক করেই রেখেছ তবে,
বসার ঘরেই ঠাঁই দিলে,
আমি যে চেয়েছি একটু বেশি
তা কি তুমি বুঝনি?

যার আমাকে নিয়ে এত ভাবনা,
সে কি করেই ভাবলো যে-
আমি তার হতে চাইনা?

কি করে বুঝিবে সে?
সে যে নগন্য এক অতিজীব!

যখন আমি তার চোখে চোখ পরায়
আড়াল করেছিলাম নিজেকে,
যখন তার ভালো লাগায় নিজেকে মানিয়েছিলাম,
যখন তার পাগলামোতায়
নিজেকে পাগল করেছিলাম,
তখনো কি বুঝেনি তুমি,
তাকে কতটা ভালবেসেছি?

ভয়, ভয় যে থাকে “পরশ পাথর ছুঁইতে”
তুমি কখনো শুনেছ, হীরা সাধারন কেও পায়?
তুমি কি দেখেছ এমন স্পর্দা করেছে কখন কেও?
আমি যে অতিনগন্য, বালিকা!
আর তুমি যে স্বপ্নকন্যা
হাজারো যুবকের স্বপ্নের!

যতদিন পর্যন্ত পারবেনা,
এই ভয়কে করতে জয়
ততদিন পর্যন্ত হবে ভালোবাসার পরাজয়।
আর তাছাড়া তুমি ভুলে গেলে বালক,
তোমার স্বপ্নে আসি বলেই তো
আমি আজ স্বপ্নকন্যা।

কবিতা, তুমি যে কবির কবিতা
কবির আদরের মনের মত গড়া।
স্বপ্নকন্যা, যে সবার স্বপ্নের কন্যা!
আমি যে তাদেরই একজন।
আমি যে পাপী, তাই ভয় আরো বেশি।

ভুল না করলে কি করে শিখবে বলো?

আমি যে ক্লান্ত, ভুলে ভুলেই পথের ধার করেছি।

আমি জানি তুমি ক্লান্ত,
তাইতো আমি তোমার জন্য
পথে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি
নিজ হাতে তোমার পিপাসা মিটাবো বলে।

এ পিপাসা যে মিটবেনা,
তোমার চোখের লুকোচুরিতে
আড়াল হাসির ঠোঁটের নির্লিপ্ততায়
হারিয়ে যেতে ইচ্ছে যে বাড়িয়ে দেয়!!!

তবে যাও আরো হাড়িয়ে,
কথা দিচ্ছি আমি তোমাকে খুঁজে আনব।
তারপর খোলা আকাশের নিচে
তোমায় নিয়ে ঘর বাধঁব।

পাবেনা, আমি যে নিজেকে গুছিয়ে রাখতে পারিনা।
পরিশেষে একূল অকূল দুই হারাবে বালিকা।

সব হারিয়ে যাক, পড়োয়া করিনা,
যদি তোমার হাতে রাখ একবার!!
বলো কখনো ছেড়ে যাবেনা??

ফের ভয় হয়, এটা কি শুধুই
কোন কিশোরী মনের মোহ?

মোহ কি? তাতো বুঝতেই পারিনি-
সেটা বোঝার আগেই তো,
তোমার মাঝে আমি হারিয়ে একাকার।

ফের ভয়, যার পিছনে রাজ্য ঘোরে
সেইজন কি করে এক সাধারন পাপীর হবে?
বালিকা, রেহাই দাও…
আমি ভয় পেতে চাইনা
মিথ্যে করতে চাইনা আমার বাস্তবতা।
যেতে দাও আমায়, আমার ঠিকানায়।

আমিতো তোমাকে তোমার ঠিকানায়
যেতে বারণ করছিনা।
আমি শুধু বলছি, আমাকে সাথে নিয়ে যাও।
আর যদি তা নাইবা হয়-
তবে নিজ হস্তে,
আজ আমায় শেষ করে দাও।
তখন হয়ত মরেও শান্তি পাব!
ভাববো আমার ভালোবাসা অমর,
আজ তার তরে।

এ তোমার কচি অবুঝ মনের আবেগ
তুমি আমায় যা ভেবে আছো, আমি তা নই!!
আমি পাপী… শুধু পাপই আমার সঙ্গী।

যদি তুমি আমায় ভালবেসে
পাপ করে থাকো তবে,
সেই পাপ আমিও করেছি।
যদি আমার, ভালবেসে পাপই হয়,
তবে তার সঙ্গী হিসেবে আমি পাপী।
জল ছাড়া নদী আর
স্বপ্ন ছাড়া স্বপ্নবালিকা, দুটোই বেমানান।
যদি তুমি এভাবে আমায়
মাঝপথে রেখে যাবে,
তবে কেন বলো, কেন এভাবে
আমায় ভালোবাসায় কাতর করেছ?
বলো বালক?

কেন এত অপবাদ বয়ে যাবে আমার সাথে?
বালিকা, আমি যে তোমার সুন্দর
একটা জীবন দেখতে চাই…

তুমি কি শুধুই নিজের চাওয়াটাই দেখবে বালক?
একবার ও ভাববেনা, আমি কি চাই?
কি চায় আমার মন?

কি চায়? বুঝ তোমার মন কেন অবুঝ?
এই মন শুধু তোমায় চায়,
তোমার ওই আকাশে ডানা মেলে উড়তে চায়।

বালিকা তুমি আবারো ভুল করছ
দূর থেকে যা তোমার ঠিকানা ভাবছ,
আসলে সেটা বিভিষীকা!!!

তোমাকে ভালবেসে আমি
আগুনের উত্তপ্ত দহনে পুড়ে যেয়ে
নিজেকে ধন্য মনে করব।

তুমি বাচবেনা, ফিরে পাবেনা বর্তমান
সারা জীবন ঠুকরে কাদঁবে।
বালকটি এক ছল-চতুর মরিচীকা
শুধু খুন করতে জানে, কাওকে বাচাতে জানেনা।

ভালোবাসার হাতে মরেই যে অমর হওয়া যায়,
তা কি তুমি জানোনা বালক?
তোমার ছোঁয়া পেয়ে মরে তো আমি ধন্য।

হাসি পায়, বালিকা
তুমি লক্ষী খুকীর মত।
খুকীরা যেমন বায়না ধরে।
তোমার কান্নার জোয়ার আমি।
তোমার অভিশাপ আমি।

এটা ভুল বললে।
তুমি তো আমার ক্লান্ত দুপুরের আঝর বৃষ্টি।
তুমি তো আমার বৃষ্টি ভেজা সকালের মিষ্টি রোদ।
তুমি তো আমার তৃষ্ণা মেটানো জল।
তুমি তো আমার খোলা আকাশ,
যেখানে আমি ঘুরে বেড়াই।

ওভাবে বলনা বালিকা,
তোমার অজান্তে তোমাকে ছুয়েঁ ফেলব।
তুমি নিজেও জানবেনা,
তোমার ভেতর আমি তোমাকে হাতরে যাচ্ছি।
তোমার কপাল ছুঁয়ে, তোমার চোখ ছুঁয়ে
নিঃশ্বাস ফেলছি তোমার কপলে।
বালিকা তুমি পালাও।
বালিকা পালাও বলছি,
পুরুষত্ব জাগ্লে সব ভুলে যাব।
তোমাকে নারী ভেবে আগলে নেব।
তুমি যাও …

আমিও সেটাই চাই,
তুমি আমাকে ছুঁয়ে যাও।
প্রতিটা মুহুর্ত তোমার হৃদয়
আমার হৃদয়ে মিশে থাকুক।
এভাবে যাওয়া যাবেনা বালক,
এখন আমি কিছুই পেলামনা,
কিছুই পারলামনা আত্তস্ত্ব করতে।

কি চাও বলতো?
তুমি চাও তোমার ভেতর আমি কেড়ে নেই?
তুমি কি চাও, আমি তোমার সব সুখ কেড়ে
তোমাকে ভিখেরী করে দেই?
তুমি কি চাও বালিকা?
আমি নষ্ট শামুকের মত। আমি নষ্ট…

হ্যাঁ আমি চাই তুমি আমার
সব কেড়ে নাও,
আমায় শেষ করে দাও।
আমি তোমার মনের ভিখেরী হতে চাই।

আমি কোন ভিখেরীকে ভালবাসিনা,
বরং সেই আমার প্রিয়-
যে বীরাঙ্গনার বেশে আমায় চায়!!

বলো বালক তুমি তাই করবে?
কথা দাও বালক, তুমি আজ আমায় হতাশ করবেনা।
তবে তোমার কথাই থাকলো,
তাই মাথা পেতে নিলাম, তবে তাই হবে।

আমায় কেড়ে নেয়ার সুযোগ দিওনা।
তোমার সততা আর স্বতীত্ব হরন হবে।
পুরুষ জাতি বরো খারাপ বালিকা।
তোমায় শ্রদ্ধ্যা করেছি বলেই বলছি বালিকা।

হা হা হা …

মন্তব্য করুন