এখন ও কেন এল না। সেই কখন এখানে বসিয়ে বলে গেল ভাড়া বাড়ি দেখে আসছি এখনই। একটা ভুলের জন্য ছি ছি!! এটা ভুল নয় অবৈধ সম্পর্ক মালতির নিজের উপর খুব রাগ হয়। মালতি ঘরের কথা মনে পড়ে। ঘরে ওর জন্য এখন হুলুস্থুলুশ কান্ড কি নাই হচ্ছে। বাবা, মার কথা চিন্তা করে মালতির চোখ ছল ছল করে ওঠে। কিন্তু তাকে এভাবে বেড়িয়ে আসতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। সব লক্ষণগুলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ডাক্তার বলেছে প্রেগন্যান্ট। যদিও শুভ শোনার পর বলেছে ভয় নেই ওকোন কালিমন্দিরে গিয়ে বিয়ে করবে। তারপর কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে। চার পাঁচঘন্টা হয়ে গেল শুভ এখন ও এল না। খুব জল তেষ্টা পেয়েছে বৃদ্ধা দোকানীর কাছে একটু জল চাইল, দোকানী জল দিয়ে বলল বেটি তুই ভালো ঘরের লেড়কি আছিস। তুই এখানে এতক্ষণ বসে কি করছিস। মালতী তার সমস্ত কথা বৃদ্ধা দোকানীকে বলল। বৃদ্ধা বলল এই রকম কত হয়েছে। ও আর ঘুরে আসবে না। তুই মা, বাবার কাছে ফেরে যা। কিন্তু মালতীর তখন ও দৃঢ় বিশ্বাস যে শুভ ফিরে আসবে। তাছাড়া এই অবস্থায় সে বাবা=মায়ের কাছে মুখ দেখাবে কি করে?
দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যে হতে গেল, মালতীর মন ভয়ে সঙ্কীত হয়ে থাকে। সে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে। এক সময় বৃদ্ধা বলে আমি দোকান বন্ধ করব বেটি, তুই এখন আর কোথায় যাবি? চল আমার বাড়ি, কাল সকালে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যাবি। মালতী বলল না বুড়িমা। তারপর সামনে ট্রেন লাইনের দিকে হাঁটতে থাকে, দুরে ট্রেনের হুইশেলের আওয়াজ শোনা যায়। বৃদ্ধা দোকানের ঝাঁপ ফেলে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরের দিন রেল লাইনের ধারে ভিড় দেখে বুড়ি ভিড় ঠেলে গিয়ে দেখে যে সেই মেয়েটা ট্রেন কাটা হয়ে পড়ে আছে।