Skip to content

ঋতু-প্রাকৃ্ত – কল্লোল সোম

কি যে এক ঋতু-প্রাকৃত আড়ষ্টতা, এমনকি
ম্যাড়ম্যাড়ে হারামি বলদ মিহিন সম্ভাষণে
বাঙ্গালকে হাইকোর্টের সুলুক ছুঁড়ে
ডুব দিলে চিটে খড়ের
সমুদ্র গুহায়।

এখানেও প্রেম আসে, এ লাইনেরই পর পর
পীরও … আরও বিবিধ যাঁরা ধর্মপথে বাঁশী ফুঁকে ফেরেন–
যদি
তোমার টী-জামার অচ্ছোদভেদী
সূর্য-আলো ভিজিয়ে দিত ব্রা…কনকচাঁপা করুণামন্ডল
মাংস, আগুনচাকা হ্রদয়;

যুগ উড়ে গেছে … রক্ত ছেড়ে আর কি কি চেয়ে?
শুধু রক্তজট, প্রেত মাশরুম, প্রত্নমগজের অতিরিক্ত সুরুয়া
এখানেও তবু,
তবু
এ নিরীহ লাইনের পর পর,
প্রবল বিদ্রোহে … বিদ্যুৎচৌম্বকীয় টানে
আসে প্রেম
কি মহা সমারোহে!

বাদুড়বৃত্ত কাঁধে কাঁধ ঠেসে
এক ও অদ্বিতীয় ফল ঘিরে
দেশজ মৌতাতে
জাত্যাভিমান, যুগসংগীতের
মহড়া ফলায়
রোজ রাতে তারাবিম্বিত
গেলাসে-লিঙ্গে
আড়-ঠেকা দিয়ে…

মহড়া নেয় একঠেঁয়ে
শরীরের জনহীন অবাধ্যতার,
তাদের চোখ আঁধার-সমুদ্রের লালায় জ্বলজ্বল
হে ফস্‌ফরাস্‌, তোমায় চিনি নি আমি
স্বপ্নে, রাষ্ট্রে, সন্ত্রাসে
সম্বিতের সীমাহীন অন্য কোনো উৎসগুহায়।

মন্তব্য করুন