Skip to content

[A]

শুরু করিলাম শুভ নামে সে আল্লার,
করুণানিধান যিনি কৃপা-পারাবার।

দেখ নাই, তব প্রভু কেমন (দুর্গতি)
করিলেন সেই গজ-বাহিনীর প্রতি?
(দেখ নাই, তব প্রভু) করেননি কি রে
বিফল তাদের সেই দুরভিসন্ধিরে?
পাঠালেন দলে দলে সেথা পক্ষী আর
করিতে লাগিল তারা প্রস্তর প্রহার
গজপতিদেরে। তিনি তাদেরে তখন
করিলেন ভক্ষিত সে তৃণের মতন।

————-
সুরা ফীল
এই সুরা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হইয়াছে। আবরাহার দলের উপর জয়ী হওয়ায় আবিসিনিয়াবাসীদের সম্বন্ধে এই সুরা অবতীর্ণ হয়। ইহাতে ৫টি আয়াত, ২৪টি শব্দ ও ৯৪টি অক্ষর আছে।

শানে-নজুল – ইমন প্রদেশের শাসনকর্তা আবরহা ঈর্ষার বশবর্তী হইয়া ইমনের ‘ছানয়া’ নামক স্থানে রত্নরাজি খচিত ‘কলিসা’ নামে একটি গির্জা প্রস্তুত করিয়া তথায় উপাসনার নিমিত্ত লোকদিগকে আহ্বান করেন। ধার্মিক লোকেরা তাঁহার আদেশ মানিতে রাজি না হওয়ায় তিনি কাবাগৃহ ধ্বংসের নিমিত্ত বহু সৈন্যসামন্ত ও ১৩টি হাতি (‘মামুদ’ সহ) প্রেরণ করেন। হজরতের পিতামহ আবদুল মোতালেব ‘মোগাম্মছ’ নামক স্থানে হান্নাতা নামক ব্যক্তির সহিত যাইয়া আবরাহার নিকট হাজির হন ও যথেষ্ট সম্মান পান এবং তাঁহার লুণ্ঠিত দুই শত উষ্ট্র ফেরত পাইবার দাবি জানান। আবরাহা কাবা ধ্বংসের বাসনা জ্ঞাপন করায় তিনি বলেন – আমি উটের মালিক, উট ফেরত চাই – কাবা গৃহের মালিক স্বয়ং আল্লাহ্, কাজেই তিনি উহা রক্ষা করিবেন। আরবের অপর যে-সকল নেতা তাঁহার সঙ্গে গিয়াছিলেন তাঁহারা মক্কার ধনসম্পদ বা চতুষ্পদ জন্তুসমূহের দুই-তৃতীয়াংশ আবরাহাকে দিতে চাওয়া সত্ত্বেও আবরহা কাবা ধ্বংসের সংকল্প ত্যাগ করিলেন না, আবদুল মোতালেবের উটগুলি ফেরত দিতে আদেশ দিলেন।
আবরাহা যুদ্ধ ঘোষণা করিলেন। তখন কাবার মর্যাদা রক্ষার নিমিত্ত আল্লাহ্‌তালা দলে দলে পাখি প্রেরণ করিলেন। উহারা উপর হইতে কঙ্কর নিক্ষেপ করতঃ আবরাহার সমস্ত হস্তী ও সৈন্য বিনাশ করিয়া দিল।
এই ঘটনার কিছুকাল পর হজরতের জন্ম হয়। কোরেশগণের উপর যে আল্লাহ্ মহা অনুগ্রহ প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহাই এই সুরায় বর্ণিত হইয়াছে। উক্ত অনুগ্রহ স্মরণ করিয়া আল্লার এবাদত করা কোরায়েশগণের কর্তব্য, এই উদ্দেশ্যে এই সুরা অবতীর্ণ হইয়াছে।
[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।