Skip to content

[A]

শুরু করি লয়ে নাম খোদার,
করুণাময় ও কৃপা-আধার।

পরস্পরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা কোন বিষয়?
সেই সে মহান খবর লয়ে যাতে সে ভিন্নমত হয়?
না, না, তারা জানবে ত্বরায়, জানবে, কই আবার
করিনি কি শয্যারূপে নির্মাণ আমি এই ধরার?
কীলক স্বরূপ করিনি কি স্থাপিত ওই সব পাহাড়?
জোড়ায় জোড়ায় তোমাদের সৃষ্টি করেছি আবার।
বিরাম লাগি দিয়াছি ঘুম, রাত তোমাদের আবরণ,
করিয়াছি জীবিকার তরে দিবসের সৃজন।
নির্মিয়াছি দৃঢ় সপ্ত (আকাশ) ঊর্ধ্বে তোমাদের,
করিয়াছি প্রস্তুত এক প্রদীপ্ত সে প্রদীপ ফের,
বর্ষণ করেছি সলিল মেঘ হতে মুষলধারায়,
কারণ আমি জন্মাব যে উদ্ভিদ ও শস্য তায়,
এবং গহন কাননরাজি। আছে আছে সুনিশ্চয়,
মীমাংসা সে অবধারিত যেদিন সে ভেরি প্রলয়
উঠবে বেজে; শুনে তাহা তোমরা সবে দলে দল
সমাগত হবে; এবং খোলা হবে গগনতল,
তাহার ফলে হয়ে, যাহে সেদিন তাহা বহুদ্বার,
সঞ্চালিত করা হবে পাহাড় সবে; ফলে তার
মরীচিবৎ হবে তারা। দোজখ আছে অপেক্ষায়,
সুনিশ্চয়; অবাধ্য যারা তাদের বাসস্থান তাহায়।
সেই খানেতে করবে তারা বহু, ‘হোকবা’ অবস্থান!
পাবে নাকো সেখানে তারা স্নিগ্ধ স্বাদ এবং পান
করতে নাহি পাবে কিছু, যেমন কর্ম তেমনি ফল,
পাবে সলিল উষ্ণ ভীষণ কিংবা দারুণ সুশীতল।
হিসাব-নিকাশ আশা তারা করত নাকো সুনিশ্চয়,
মিথ্যার আরোপ করেছিল নিদর্শন সে সমুদয়।
দেখতে আমার ওরা সবে হঠকারিতা করেই
অথচ রেখেছি গুনে গুনে প্রতি বস্তুকেই।
সুতরাং এবার মজা দেখো! এখন কেবল যাতনাই
বাড়িয়ে দিতে থাকব আমি, তোমাদিগের
– (রেহাই নাই)!
সংযমী লোক সবার তরেই সফলতা সুনিশ্চয়,
প্রাচীর ঘেরা কাননরাজি এবং আঙুর (সেথায় রয়)।
সমান বয়েস তরুণীদল, পানপাত্র পরের পর
আসবে সেথা পূর্ণ এবং পবিত্র (অমৃত ভর)।
শুনতে নাহি পাবে তারা মিথ্যা প্রলাপ সেই সে স্থান
বিনিময়ে তোমার প্রভুর থেকে তাই যথেষ্ট দান।
ভূলোক ও দ্যুলোকের যিনি সকল কিছুর অধীশ্বর,
করুণাময় যিনি তাহার কেহই সে দিন তাঁহার পর
হবে নাকো অধিকারী সম্বোধন করিতে তার।
জিবরাইল আর ফেরেশ্‌তারা দাঁড়াবে সব দিয়ে সার
সেদিন তারা কইতে নারবে কোনো কথা; কিন্তু যার
মিলবে আদেশ কৃপা-নিধান খোদার কাছে বলবে সে
সঙ্গত সেকথা। উহাই নিশ্চিত দিন সত্য যে সে।
সুতরাং যার ইচ্ছা হয়
আপন প্রভুর কাছে এসে গ্রহণ করুক সে আশ্রয়।
অনাগত শাস্তি সে কি, তার বিষয়
সাবধান করেছি আমি তোমাদের সুনিশ্চয়।
দেখতে পাবে সেদিন মানুষ পাঠাল দুই হস্ত তার
কোন সম্বল আগের থেকে! বলতে থাকবে কাফের
– আর (ভাগ্যহত আমি হায়)
হতাম যদি মাটি – (ছিল শান্তি তায়)!

তাম্মাত

————-
সুরা নাবা
এই সুরা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হয়। ইহাতে ৪০টি আয়াত, ১৭৪টি শব্দ ও ৮০১টি অক্ষর আছে।

শানে-নজুল – হজরত প্রথম যে সময়ে লোকদিগকে ইসলামের দিকে আহ্বান করিয়া কোরান শুনাইতেন ও কেয়ামতের ভীতিপ্রদ সংবাদ বর্ণনা করিতেন সেই সময়ে বিধর্মীরা তাঁহার প্রেরিত তত্ত্ব, কোরান ও কেয়ামত সম্বন্ধে তর্ক-বিতর্ক করিত, আর একে অপরের নিকট ওই সকল বিষয় সম্বন্ধে নানারূপ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিত। তখন এই সুরা নাজেল হয়।

[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।