নটরাজ। | মহারাজ, আদেশ করেন যদি, বর্ষার অভ্যর্থনা দিয়ে আজ উৎসবের ভুমিকা করা যাক। |
রাজা। | ভূমিকার কী প্রয়োজন। |
নটরাজ। | ধুয়োর যে প্রয়োজন গানে। ঐ ধুয়োটাই অঙ্কুরের মতো ছোটো হয়ে দেখা দেয়, তার পরে শাখায় পল্লবে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। |
রাজা। | আচ্ছা, তা হলে বিলম্বে কাজ নেই।
ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে |
নটরাজ। | ওগো কমলিকা, এখন তবে শুরু করো তোমাদের পালা। |
রাজা। | কী দিয়ে শুরু করবে। |
নটরাজ। | বনভূমির আত্মনিবেদন দিয়ে। |
রাজা। | কার কাছে আত্মনিবেদন। |
নটরাজ। | আকাশপথে যিনি এসেছেন অতিথি– আবির্ভাব যাঁর অরণ্যের রাসমঞ্চে, পূর্বদিগন্তে উড়েছে যাঁর কেশকলাপ। |
সভাকবি। | ওহে নটরাজ, আমরা আধুনিক কালের কবি– ফুলকাটা বুলি দিয়ে আমরা কথা কই নে– তুমি যেটা অত করে ঘুরিয়ে বললে, আমরা সেটাকে সাদা ভাষায় বলে থাকি বাদলা। |
নটরাজ। | বাদলা নামে রাজপথের ধুলোয়, সেটাকে দেয় কাদা ক’রে। বাদলা নামে রাজপ্রহরীদের পাগড়ির ‘পরে, তার পাকে পাকে জমিয়ে তোলে কফের প্রকোপ। আমি যাঁর কথা বলছি তিনি নামেন ধরণীর প্রাণমন্দিরে, বিরহীর মর্মবেদনায়। |
রাজা। | তোমাদের দেশের লোক কথা জমাতে পারে বটে। |
সভাকবি। | ওঁদের শব্দ আছে বিস্তর, কিন্তু মহারাজ, অর্থের বড়ো টানাটানি। |
নটরাজ। | নইলে রাজদ্বারে আসব কোন্ দুঃখে। এইবার শুরু করো। বাকি আমি রাখব না কিছুই। |