Skip to content

ময়ূর – উৎপল কুমার বসু

ময়ূর, বুঝি-বা কোনো সূর্যাস্তে জন্মেছ ।
এবং মেঘের তলে উল্লাসে নতুন ডানাটিকে মেলে ধরে
যখন প্রথম খেলা শুরু হবে—- সেই স্থির পরকালে
আমি প্রথম তোমার দেখা পেয়েছি, ময়ূর ।

সমুদ্রসৈকত ধরে এত দূর, এত গাঢ় স্তব্ধতার কাছে এসে
তোমার প্রবল দৌড় দেখা গেল, যেন
আরো শব্দহীনতার প্রতি — অন্ধকার ঝাউবনে— অস্তিত্ব-জটিল
আমাদের আর্তরবে ডেকেছ সহসা

অথচ বনের শেষে নির্বসন যৌবনের চোখে
বিদ্যুত্চমক বলে মনে হল তোমার প্রতিভা
মনে হল নবীন নবীনতমা সৃষ্টির ক্ষমতাও বুঝি
এইভাবে ক্রমাগত অন্তরহীনতার বুকে মিশে যায় ।

ফিরে দাও সাগরে আবার । ফিরে দাও উন্মাদ তুফানে
অস্তিত্বকে ফিরে দাও । বিপুল পৃথিবীময় পাথরের বুকে
আমি তার ভেঙে পড়া দেখেছি গর্জনে । দেখেছি আছাড়
ডুবন্ত জাহাজ থেকে ভেঙে নেয় পাটাতন, জয়ের মাস্তুল ।

তবুও ঝড়ের শেষে, তবুও দিনের শেষে, অন্ধকার বনে,
বৃষ্টির মেঘের তলে শোনা গেল আর্ত কেকারব—
বুঝি নির্জনতা পেয়ে পুনর্বার মেলেছ বিশাল,
নক্ষত্রে সাজানো ডানা । পেয়েছ নির্দেশ ?

[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।