Skip to content

মজা হোক – ভারি মজা হোক – শক্তি চট্টোপাধ্যায়

তোমায় একটা লাল বুলবুলি কিনে দেবো, ঢেউয়ের মতন ঝুঁটি তার
এখন একটু চুপটি করে বসে থাকো
আমি একটি হাত টেবিলের তলা দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছি, সেই হাতে
ভুবন ধরার মতো তোমার পদতল ধরে রাখো
আমিও চুপটি করে বসে থাকবো
তুমি আমায় একটা লাল বুলবুলি কিনে দেবে
. ঢেউয়ের মতন ঝুঁটি তার
আমরা দুজন ওদের আদর-আহ্লাদের ফাঁকে ফাঁকে
. নাচ-নাচুনি কোঁদল দেখবো |
আমি বিষয়টা খুব নম্রভাবেই শুরু করতে চাই
চুলের টায়রা থেকে শুরু করার উচ্চাভিলাষ আমার নেই
বুলবুলিটা কথার কথা—বলতে হয় বলেই বললুম
. ঘুষ-ঘাষের কথা নয় তো |
তবু একটা চেড়ার আড়াল, একটা ফর্ম থাকা ভালো |

তোমার বুক দেখলে আমার মেদিনীপুরের কথা মনে পড়ে
দেশ-গ্রাম নয়—সুদ্দু ঐ মেদিনী শব্দটা
নাম বদলে মাঝে-মাঝে ‘মেদিনীদুপুর’ করতেও ইচ্ছে হয়—
দুপুর, মানে দুখানা, দুখানা মানে দু-বুক—

এতো খুলে না বললেও চলতো, চেড়ার আড়াল তো
. মোটামুটি পছন্দই করো
তবু আচারের তিজেল খুলে হাত গুটিয়ে বসে থাকে সাধ্য কার ? একা ?
বিষয়ের মুখোমুখি ?
সমালোচকের কানে গোঁজা পেন্সিল তক্ষুনি গদ্যপদ্য কাটাছেঁড়া করতে
. নেমে আসবে না ?
বহুকাল বাদে তোমাকে পেয়েছি, তোমায় পেয়ে আমাকেও পেয়েছি
ভারি মজা করার ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু
এসো, দুজনেই আঁধার করা টেবিলের তলে সেঁধিয়ে পড়ি
মজা হোক—ভারি মজা হোক একখানা
বিনি টিকিটে বহু লোককে হাসানো যাক
ঐসব মন-খারাপ মজাদিঘি ব্যাঙ-বাবাজি লোক ঠেকিয়ে
. ভীষণ মজা হোক |

[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।