Skip to content

বিষ-পিঁপড়ে – শক্তি চট্টোপাধ্যায়

সারা শরীর জুড়ে তোমার বিষ-পিঁপড়ে ছড়িয়ে দিলুম
আস্তে, যেমন জামরুলে, ঐ নীল ভিজানো গাছের ছালে
ছড়িয়ে দিলুম যেমন চাষা ছড়িয়েছিলো পুরুষ্টু বীজ
ক্ষেত ভরে যার শষ্য ওঠে, তোমার শষ্য শরীর ভরে
কুড়িয়ে নিয়ে হঠাৎ কেন বিষ-পিঁ পড়ে ছড়িয়ে দিলুম—
কারণ ছিলো ? কারণ আছে |

ঐখানে গোপন ডুবুরি তোমার জলে স্নান করেছে |
সর্ব অঙ্গে ছড়িয়ে আছে তোমার দেওয়া কুসুম-গন্ধ
হলুদ তোমার হলুদ, এই কি সারাজীবন সন্ধ্যাবেলার
সঙ্গ দেওয়া ? ভবিষ্যতের ঘর-বাঁধা খড় খুঁজতে যাওয়া ?
এই কি তোমার রাত পোহানো, পথিকে পথ দেখিয়ে আনা ?
এই কি তোমার প্রতিচ্ছবি, যে ছিলো বুক ভরিয়ে, ব্যেপে –
আপাদমাথা সারা শরীর—তাই শরীরে ছড়িয়ে দিলুম
সর্বনাশা বিষের যাদু, লুট করে হাড় ভাঙতে বাকি
ওরাই আমার সেনাবাহিনী, আমাকে সৎ সিংহাসনে
বসিয়ে রাখে সারাজীবন—

তবু আমার দুঃখ, দুঃখ হঠাৎ ঘরে ঢুকলো একা—
নও তুমিও সঙ্গিনী তার, সে এক শতরঞ্চি বেড়াল
খাটের বাজু জড়িয়ে দাঁড়ায়—তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে—
অন্ধ গলায় চেঁচিয়ে বলে, ‘আমিই কঠোর সঙ্গিনী তোর |’

[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।