Skip to content

বহুদিন বেদনায় বহুদিন অন্ধকারে – শক্তি চট্টোপাধ্যায়

বহুদিন বেদনায়, বহুদিন অন্ধকারে হয় হৃদয়ের উদ্ ঘাটন
সে-সময়ে পর্দা সরে যায় প্রাচী দিগন্তের দিকে—
যে-সময়ে মেহগনি খাট ডুবে যায় মেঘে-মেঘে
যে-সময়ে মনোহর প্রত্যভিবাদন নিতে ধানক্ষেতে নেমে আসে চাঁদ
অন্ধকার অবহেলা অন্ধকার বড়ো বেদনার—
সে-সময়ে হৃদয়েরই উদঘাটনে ভাসে মুখবাঁধা ঈগলবকের ঝাঁক একই দলে,
হলুদ পাতায় ভরে যায় নদীদের বটতলা,
সে-সময়ে তোমাদের বাড়ির কাউকে দেখা গেলে
. ( এমনকি অতিচেনা রোমশ বিড়াল ! )
সিন্দুরের ফোঁটা তার কপালে দিতাম এঁকে, তবে
তোমরা সকলে মিলে বুঝে নিতে সময়সংকেত –
. সেই লোকটির হাতে এ-ফোঁটা পরানো হয়েছিলো |

অতি আদরের পথে গলির বারান্দা ভালোবেসে
শেষবার সেই লোক কাহাদের বিড়ালেরই সাথে
. করিয়াছে মুখোমুখি দেখা !
অবহেলা তোমাদের, অবহেলা তাহার তো নয়—
অমর নারীর মতো তোমরা করিতে পারো খেলা,
. তাহাদের সে-সময় আছে ?
এই তো সেদিন আমরা আমাদেরই জন্মদিনে করেছি গ্রহণ –
. বয়সের পরচুলা |

বয়স তো কারো একা নয় ?
বয়স দাঁড়িয়ে থাকে কোনো মাঠে স্কেলকাঠি হয়ে—
মানুষ মাপিতে যায়, মানুষী মাপিতে যায়, বালকেরা হাসে—
৫’- ৩“-এ হয়ে যায় মনোরমা কাপ নির্বাচন !
বহুদিন বেদনায়, বহুদিন অন্ধকারে হয় হৃদয়ের উদ্ ঘাটন
সে-সময়ে পর্দা সরে যায় প্রাচী দিগন্তের দিকে |

[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।