Skip to content

নদী – বিক্রম ঘোষ

তোমার চোখে নদী দেখেছি নিশ্চুপ কত বিরহে,
আলোর অভিমানে, মাখিয়ে জল চাঁদের গায়ে ।
শব্দ নেই, সমস্ত শব্দ গেছে নিশ্চুপ ব্রত পালনে।
ভিনদেশী জোনাকি আলো দিয়ে ঝিনুক কুড়িয়ে আনেন।
চোখ ঢুকে পড়ে, তারা গুলো খুব ঘুম কাতর
তুলা বুনে বুনে মেঘ গাঁয়ে জড়িয়ে আঁধার-চাদর।

বৃষ্টির জল গায়ে কেঁদে ওঠো প্রেমিকের দরজায়,
সে যে প্রাক্তন । কানে কানে বৃষ্টি জানিয়েছে তােমায় ।
ডিঙিয়ে যাওয়া পথ ধরে ফিরে আসে আবার
কত যুগ, কত সভ্যতা, সব লােকে বলে ওকে সংসার
ধপধপে সাদা ক্যানভাস, মেঘের কাছে বিরাট ঋণ,
রামধনু স্বার্থপর, ভুলে যায় মেঘের বাসায় কাটানো সেই দিন।

তোমার নদীর কোনে শোভা নেই, সমস্তই আকাশের
সন্ধ্যা নামার অনেক আগের, চেয়ে বসে অনন্ত নীল ভুল করে
সাজার সরঞ্জাম একটাই । শুধু কাজল পাতলা সর
গাছের মতাে মইয়ে উঠে স্বপ্ন উড়ে যায় আকাশের ওপর।

সেই নদী, সেই জল তোমার কি কোনো ব্যথা বুঝে?
দিন শেষ হলে, কোন গুপ্তচর কি তোমার হৃদয় খোঁজে? |
সবার পেছনে আমি। দেখে যাই এক মুগ্ধতায়
‘চিনি না সে-ই বণিককে? যে তােমার নদীতে সুখে ভেসে যায় ।
আমি পুরনো পশ্চিমে, যেখানে ঘটে আলোর নির্বাসন!
‘দিনের থেকে নিয়েছি আলো, তুমি তার একমাত্র কারণ।।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।