Skip to content

আকাশে চিক্কুর দিচ্ছে – শক্তি চট্টোপাধ্যায়

আকাশে চিক্কুর দিচ্ছে থেকে থেকে, মেঘে ধরেছে ফাট
ঘরদোরের চৌকাট মাড়িয়ে, টলোমলো, মানুষ ফিরছে অন্দরে
বাইরের ঘাস পাতা, জুতোর নিচের কাদা বারান্দার পেট মোটা
জোঁকের মতন রক্ত ঢালছে, ঝোপের নীচে ঘুমকাতর সেন্ট্রি
রেনট্রির ঝোড়ো চুলে অন্ধকার ঝড়—
তারপর? তারপর গল্পটা খুবই ছোটো
একটু ওঠো | জেগে-জেগেই ঘুমোবে ! ওঠো, উঠে বসো
অনেকদিন রাগ করোনি, অভিমানে অভিমানে ভেঙে পড়োনি
অনেকদিন, বাতির গায়ে লেগে থাকতো মোমের ফোঁটা
আজ নেই, কিচ্ছু করার নেই আজ, দেয়াল থেকে আছড়ে
মাটিতে পড়ছে এঁটেল মাটির টিকটিকি, লম্বা লম্বা ছায়া
দুলছে কেবল, ডাঁই-করা ছাড়া-কাপড়ে ভ্যাপ্ সা গন্ধ
কেমন দম বন্ধ হয়ে আসছে, পাথর পাথর
সবখানেই পাথর, সবখানেই ভাঙা জোড়ার শব্দ– বাইরে,
ভেতরে নয়, ভেতরে কলে জল পড়ার আওয়াজ হচ্ছে
বাসনপত্তরে, কয়েকটা পোড়া শুকনো রুটি আর ডাল জল
বরফের চেয়ে ঠাণ্ডা — লোনা, না মিষ্টি ? টেবিলের ওপর
ন্যাংটো হয়ে পড়ে— ফুরফুর করে উঠছে আরশুলা
দুধ গরমের পোড়া কাগজ উড়ে বেড়াচ্ছে হাওয়ায়—চমত্কার !
আকাশে চিক্কুর দিচ্ছে থেকে-থেকে, মেঘে ধরছে ফাট
ঘরদোরের চৌকাট মাড়িয়ে আবার কে এসে ঢুকলো— ঘরে,
তারপরে ? লোকটা মাথা পর্যন্ত চাদর টেনে তার ভেতরেই
একা-একা তৎক্ষণাৎ ঘুমোতে লাগলো ||

[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।