তোমাকে একটা গাছের কাছে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দেবো
সারা জীবন তুমি তার পাতা গুনতে ব্যস্ত থাকবে
সংসারের কাজ তোমার কম—‘অবসর আছে’ বলেছিলে একদিন
‘অবসর আছে – তাই আসি |’
একবার ঐ গাছে একটা পাখি এসে বসেছিলো
আকাশ মাতিয়ে, বাতাসে ডুবসাঁতার দিয়ে সামান্য নীল পাখি তার
ডানার মন্তব্য আর কাগজ-কলম নিয়ে বসেছিলো
‘হ্যাঁ, আমি তার লেখাও পেয়েছি |’
ক্কচিৎ কখনো ঐ পথে পথিক যায়
আমায় এসে বলে—‘বেশ নির্ঝঞ্ঝাট আছো তুমি যাহোক !’
আমার হিসাবনিকাশ, টানাপোড়েন, আমার সারাদিন
‘অবসর নেই—তাই তোমাদের কাছে যেতে পারি না |’
সন্ধে হয়, ইস্টিশানের কোমরের আকন্দ ফুলগুলি ফুটে ওঠে
আমার কষ্ট হয় কেমন
আকন্দ-র নাকছাবি তোমায় মানাতো বেশ
পাতার একটা থোক হিসেব পাঠাতে তত্পর হয়ো—
‘তাছাড়া, কম দিন তো হলো না তুমি গেছো !’
দুপুররাতের কথা তোমাদের কিছু কানে গেছে
জ্যোত্স্নায় গাছের ভিতরে পা ছড়িয়ে বসো তুমি
‘গতমাসে একটা রান্নাঘর তৈরি হবার কথা জানিয়েছিলে
হোটেলের ভাত-ডাল তাহলে আর তেমন পুষ্টিকর নয় ?’
জীবনে হেমন্তেই তুমি ছুটি পাবে—
পুরীতেও যেতে পারো—ফিরতি পথে
ভুবনেশ্বরটাও দেখে এসো,
আবার কবে যাও না-যাও ঠিক নেই –
আমার হিসাবনিকাশ টানাপোড়েন, আমার সারাদিন
‘অবসর নেই—তাই তোমাদের কাছে যেতে পারি না |’
[A]