বাহাত্তর বছর আগে নতুন করে সীমান্ত লেখা হল, মানুষ উদ্বাস্তু
হল, ছিন্নমূল। নিজের ঘরবসতের সঙ্গে পোয়াতি বউ আর কাঁধে সন্তান নিয়ে
পথ হাঁটল, সীমান্তের ওপারে যে দেশটা আছে, সেটা নিজের মনে করে।
বউ-ঝি ধরে ছিল অন্ধ শ্বশুর, বুড়ি শাশুড়ির হাত আর খাঁচার পাখিটাকে
কেঁদে বলছিল, চল, ওপারে গেলেই দেখবি আমাদের নিজের ঘর, উঠোন।
তাদের পায়ের রক্তছাপ, হাড়সর্বস্ব শরীরের ওপর দিয়ে কত ধুলো উড়ে গেল
কত হাজার মানুষের পা, আর শেষে, কলমের মুখে উঠে এসে তাদের কাহিনি
হয়ে গেল সাহিত্য, তা থেকে সিনিমা।
প্রাণটুকু নিয়ে যারা রিফিউজি ছাউনিতে উঠে এল, তারা একটা দেশ পেল
শেষপর্যন্ত আর নন্দলাল বোসের ক্যালিগ্রাফিতে মাটিতে দখলদারির দলিল।
[A]
অসাধারণ কাব্যিক বর্ণনায় দেশভাগের যন্ত্রণা ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিকে অনন্তের শ্রদ্ধা জানাই।