শীতকাতুরে তোমার জন্য অনেক কথা জমে থাকে
রাতভোরে সেই কথার রোদে শীতগুলো সব হঠাৎ উধাও
সকাল সকাল একলা পাখি কীসব ভাবে কাজের ফাঁকে
বইখাতা সব ছড়িয়ে থাকে মন চলে যায় দূরে কোথাও
সেসব দূরে যেতে মানা বারণ আছে পিছুটানও
তবুও সেই ডানার ভারে উড়তে গিয়ে পিছলে পড়া
এতই সোজা এক জীবনে তেপান্তরের মাঠ পেরোনো?
এখনও সেই খাঁচায় ফেরো নিঝুম শহর শান্ত পাড়ায়
খাঁচার ভেতর সোনার শেকল মন তো পড়ে অন্য কোথাও
দুহাত দিয়ে ছিটকে ফেলো শীতঘুমে রোদ চোখ রাঙানী
অবশ শরীর লোকাল ট্রেনের নানান জনের অসভ্যতাও
শীতকাতুরে আদেশ করো, একটি শীতের উষ্ণতা দিই
এর বেশি আর কিছুই তো নেই, শহর এখন গিলছে আমায়
ভীড়ের ভেতর শীতের ভেতর মাথার ওপর নীলচে আকাশ
একলা পাখি বলতে থাকে শহর ছেড়ে পাহাড় চুড়ায়
জানতে তো সেও চায়নি মোটেও, “সত্যি বলতো তুই কি চাস?”
শীতকাতুরে উষ্ণতা পাও তোমার তেমন আগুন আছে
সে আগুনে শরীর সেঁকো রোজই যখন সন্ধ্যা ঘনায়
আমি কেবল শুনতে চাইছি একলা পাখি বলছে এসে
“আমার সাথে একটুখানি রোদ্দুরে ঘর করলি না হয়”
কথায় কথায় কীভাবে সব রূপকথা হয় সবই জানে
কীভাবে ঠিক বলতে হবে দাঁড়িয়ে থেকে অন্ধকারে
সবই জানে একলা খাঁচা কি-বোর্ড আর মুঠোফোনে
শীতকাতুরে সে রূপকথা উড়িয়ে দিও তেপান্তরে
আমি শুধু দেখতে পাচ্ছি খাঁচার পাখির ক্লান্ত ডানা
রূপকথা সব ঠোঁটের ফাঁকে উড়তে চাইছে তেপান্তরে
মাঠ পেরিয়ে, অন্ধকারে যদিও তার উড়তে মানা
তার পেছনে বিষণ্ণ এক শীত নামছে শহর জুড়ে…
সহজ করে বলতে মানা তবুও বলি চাইছ যখন
আমার দৌড় ওটুকুতেই, আটকে যেতেই ফেরৎ আসি
ভুল বুঝোনা সহজ করা তোমায় সাজে এই যে যেমন
“প্রেমিকও নয় বন্ধুও নয় বন্ধুর চেয়ে একটু বেশি…”