Skip to content

রক্তকরবী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সর্দারের প্রবেশ

সর্দার।
কিগো ৬৯ঙ, সকলেরই সঙ্গে তোমার প্রণয়, বাছ-বিচার নেই?

বিশু। এমন-কি, তোমার সঙ্গেও শুরু হয়েছিল, বাছ-বিচার করতে গিয়েই বেধে গেল।

সর্দার। কী নিয়ে আলাপ চলছে?

বিশু। তোমাদের দুর্গ থেকে কী করে বেরিয়ে আসা যায় পরামর্শ করছি।

সর্দার। বল কী, এত সাহস? কবুল করতেও ভয় নেই?

বিশু। সর্দার, মনে মনে তো সব জানোই। খাঁচার পাখি শলাগুলোকে ঠোকরায়, সে তো আদর করে নয়। এ কথা কবুল করলেই কী, না-করলেই কী।

সর্দার। আদর করে না, সে জানা আছে; কিন্তু কবুল করতে ভয় করে না, সেটা এই কয়েক দিন থেকে জানান দিচ্ছে।

নন্দিনী। সর্দারজি, তুমি যে বলেছিলে, আজ রঞ্জনকে এনে দেবে। কই, কথা রাখলে না?

সর্দার। আজই তাকে দেখতে পাবে।

নন্দিনী। সে আমি জানতুম। তবু আশা দিলে যখন, জয় হোক তোমার সর্দার, এই নাও কুন্দফুলের মালা।

বিশু। ছি ছি, মালাটা নষ্ট করলে! রঞ্জনের জন্যে রাখলে না কেন।

নন্দিনী। তার জন্যে মালা আছে।

সর্দার। আছে বৈকি, ঐ বুঝি গলায় দুলছে? জয়মালা এই কুন্দফুলের, এ-যে হাতের দান — আর বরণমালা ঐ রক্তকরবীর, এ হৃদয়ের দান। ভালো ভালো, হাতের দান হাতে হাতেই চুকিয়ে দাও, নইলে শুকিয়ে যাবে; হৃদয়ের দান, যত অপেক্ষা করবে তত তার দাম বাড়বে।

[প্রস্থান]

পরবর্তী অংশ

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।