ধীরে ধীরে তুলে নিলে গান্ডীব ধনুষ;
মাছের চোখে চোখ স্থির; স্থিতধী পুরুষ,
পাঞ্চালীর চোখ ঐ গভীর অতল,
ঘন কালো হরিণ চক্ষু তীব্র ‘ব্লাক হোল’।
একি মায়া!একি টান!দহন আলোক!
পাঞ্চালীর চোখ চাই; পাঞ্চালীর চোখ!
দিন যায় মাস যায় কাটে বছর,
ধুলো পথে, গহন অরণ্যে, পর্বত, গহ্বর,
চোখে শুধু জেগে থাকে সুতীব্র শোক,
পাঞ্চালীর চোখ চাই; পাঞ্চালীর চোখ!
উলূপী, চিত্রাঙ্গদা সুভদ্রার নয়ন
ব্যর্থ দিতে শান্তি নিদ্রা, ব্যর্থ আয়োজন,
অসহ জ্বালা ধরা জীবন নেশা,
ভুলাতে পারেনা সেই চোখের তৃষা,
ওই চোখ ডাকে শুধু গভীর অমোঘ,
পাঞ্চালীর চোখ চাই; পাঞ্চালীর চোখ!
এজীবন তছনছে শুধু দুটি চোখ,
বুভূক্ষার আকাশে অনিদ্রা অপলক,
হায় পার্থ! তুমি ব্যর্থ; মানস যুদ্ধে,
অতৃপ্ত আত্মশ্লাঘা কাঁদে অবরুদ্ধে।
চোখ বিনা এ জীবন শুধু বয় শোক,
পাঞ্চালীর চোখ চাই; পাঞ্চালীর চোখ!
পাঞ্চালীর চোখ চাই; পাঞ্চালীর চোখ!
পাঞ্চালীর মানেটা জানতে ইচ্চে করছে। আমি বাংলা পণ্ডিত নই। বাংলা টু বাংলা অভিধান থাকলে জেনে নিতাম।
পাঞ্চালি হল মহাভারতের একটি চরিত্র । মহাভারতে দ্রৌপদির আর এক নাম পাঞ্চালি ।
ফাইন।ভাল লাগল জেনে। আপনি কি পশ্চিমবঙ্গের কবি?
ধনুষ কি ধনুকের সমার্থক? অর্জুনের তীরের নাম গাণ্ডীব বলে জানতাম।আর গাণ্ডীব বানানে ণত্ব বিধান মানা হয়নি। অথচ শব্দটি সংস্কৃত।
খুবই সমৃদ্ধ । আমি নিয়মিত পড়তে চাই ভ