Skip to content

ধর্মাবতার – সৃজা ঘোষ

এক

অভ্যেসের আর বয়স কত? ধর্ষণের ও তাই
বাসের ভেতর, ঘরের ভেতর নষ্ট বনে যাই।
“আঠেরো চাই, আঠেরো চাই”, রডের ভেতর মেয়ে-
ধর্মাবতার, মেয়েমানুষ সস্তা ‘ষোলো’-র চেয়ে…

পূর্তি খোঁজে আইন যখন, ফূর্তি বোঝে যোনি,
ষোলোর ভেতর লুকিয়ে ফেরে মধ্যরাতের শনি।
লজ্জা মেয়ের বুকের ভাঁজে, লজ্জা পায়ের ফাঁকে
ধর্মাবতার, বলতে পারো মুক্তি দেবে কাকে?

রোগ হয়েছে সভ্যতার আর রোজ বুঝেছে নারী-
একটা ‘ষোলো’ হাজার যোনির চেয়েও অদরকারি।
মোমবাতি-তেই ধার মিটিয়ো, ভাগ্য বটে তার,
ধর্ষণ আর মরণ যাকে ‘বাঁচায়’ হাজার বার।

দুই

রক্ষক-রাই ভক্ষক হয়- একটু মাংস ছাড়া,
ভাবছি বিংশে নারীত্বে আর পড়ে থাকে ঠিক কারা?
যানবাহনেও নগ্ন হয়েছি, বনে গেছি নয়া ভোজ-
পাহাড়াদারেরা ছিঁড়ে খেয়ে গেছে মৃত যোনিটুকু রোজ।

প্রহরীও আজ নগ্নতা চায়, খাবার ভাগের পালা,
নারীর গন্ধে বাকি থাকে শুধু সম্বরণের জ্বালা!
এবার জন্ম পাই যদি আর, যোনিটুকু বাদ দিও-
আঠাশ দিনের কন্যার কাছে ‘সহ্য’ ভিক্ষা নিও…

লিঙ্গ উধাও, ইঁট-কাঠ বেশি, লোহার শরীর চাই
কন্যা ভ্রূণের অভিসম্পাতে মাংসই রয়ে যাই।
ঘেরাটোপে আরো ধর্ষণ বাড়ে, স্তন ছিঁড়ে নেয় ওরা
এ নষ্ট দেহে মুক্তি মেলেনা, মৃত্যুও মুখচোরা…

স্তনাগ্রে তাই কাঁটা জুড়ে দিও, এবার জন্ম নিলে।
একা পেয়ে যারা সমবেত ছিল, মেরেছিল এক ঢিলে,
তাদের জন্যে ছেড়ে রেখে গেছি, একটা কামরা যানে-
শরীরে ছিলাম নগ্ন আগেই, আজ কালশিটে-প্রাণে!

1 thought on “ধর্মাবতার – সৃজা ঘোষ”

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।