Skip to content

এতোটুকু প্রেম – জালাল উদ্দিন মুহম্মদ

তোমার জন্য অপেক্ষা করছিল হেমন্তের শেষ বিকেলের রোদ
কাঁপছিল আঘ্রাণের ধানের শীষে জমানো শিশির , অবশেষে
তুমি এলে জোছনার আড়িপাতা এক নিঝুম সন্ধ্যায়
নকশিকাঁথা ওমে … অতঃপর
কথা বলে, কাকচক্ষু জল

যুগল ভ্রু’র পিঁয়াজ-কাজল আর
দশ দিগন্ত আলো করে আসে এতোটুকু হেম
আলো আধাঁরিতে ভাসাই প্রথম প্রেমের ভেলা ।
মেঘে মেঘে এ লুকোচুরি খেলা কেউ দেখবে বলে
কাকের মতো দু’চোখ বন্ধ করে
গুঁজে দেই শনপাতা-ছাওয়া ঘরের চালে, কখনোবা
বালিশের নীচে, বুক পকেটের গভীরে- অতঃপর
সাত রাজার ধনের মতো চুপিসারে খুলে দেখি বার বার …..
অজানা আশঙ্কায় কখনো রাখি তারে জানালার কার্নিশে, আবার
ভাবি আচানক বৃষ্টিতে ভিজে যায় যদি জীবনের সাধ !
অথবা
কোন রত্নচোর যদি হানা দেয় অচম্বিত!
নিয়ে যায় আমার শত জনমের সঞ্চয় সব মনোমাণিক্য!
আমার রাজনীতিবিদ বাবাকে আরো বেশী ভয় …
তার চোখে পড়ে যদি এক ফোঁটা সরবত-এ-বেল
নিশ্চয় তিনি বানাবেন তারে প্রেমের ককটেল !
আর
সহপাঠি বন্ধুরা যদি আড় চোখে দেখে নেয় এতোটুকু রঙ!
বুঝে ফেলে যদি রাস্তার লোক!
এইসব ভেবে এতটুক প্রেম রাখি পাতার ভাঁজে,
আঁচলের গিঁটে ।
মা ঠিক জানে, এতোটুকু প্রেম জ্বলে ভাল
ওতে রান্না হয় ভাত
সেদ্ধ হয় একাকী রাত!
আমি লজ্জাবতী লতার মতো শরমের রঙ লুকোবার এতোটুকু স্থান
খুঁজে হই হয়রান !
ভাবনারা ভেবে মরে, চুল পুড়ে বাতাসে;
মনের ভুলে বুদ্ধি পালায় আবেগের জঙ্গলে –
এ্তোটুকু প্রেম আনমনে রেখে দেই বুকের খাঁজে, অন্তরের অন্তরে…
মন ও বুক হয় যুগপৎ উন্মন, উৎসুখ;
সহসা বদলায় মুখের রঙ -, আর
পাশ ফিরে দেখি, বুঝে গেছে সব বক ও কাক
আমিতো হতবাক !

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

অ্যাড ব্লক পাওয়া গেছে!!

সত্যি বলছি, আমরাও বিজ্ঞাপন পছন্দ করিনা! কিন্তু বিজ্ঞাপন এই ওয়েবসাইটকে বিনামূল্যে চালাতে সাহায্য করে! 

দয়া করে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করে পুনরায় লোড করুন।