তার পর-
সে তখন বিস্ময় বালকের মতো
অপলকে চেয়ে আমার চোখে ।
আমি যতবার তার মনকে অন্য পথ দেখাই
‘ওই দেখুন ওই ফুলটা কী সুন্দর’!
সে তবু চেয়ে আমার চোখে ।
বললাম ‘চলুন তো ওই দিকটা দেখি’ ।
কিছু নুড়ি ঢালা পথ পেরিয়ে চলেছি,
পাশে তার না বলা কথার তীব্র উষ্ণতা
আমার পরিমণ্ডলে আর্দ্রতা বাড়াচ্ছে।
সে অবোধ শিশুর মত পাশে পাশে চলেছে;
হাতে তার একগুচ্ছ বুনো আবেগ মুঠো করা।
আমি ওই ফুলের বনে গিয়ে বসলাম,
যা ছিল গান, কবিতা জলস্রোতের মত
আপনি প্রবাহিত হল ।
তখনও সে আমার চোখে তাকিয়ে অপলকে।
‘কি শুধু দাঁড়িয়ে থাকবেন?বসুন’।
সে বসলো দূরত্ব রেখে,
হাতে তার একগুচ্ছ বুনো আবেগ তিরতির করে কাঁপছে ।
কিছু মেঘ উড়ে এল
কিছুটা স্বপ্নে মাখামাখি,
নীল আকাশে সাদা মেঘের ফুল,
আমি ভাল লাগায় বিবশ,
ফুলের বনে ঘাসের বিছানায়
মন ছুয়েছে আকাশ ।
কতক্ষণ কে জানে
হটাৎ ই মনে হল; সে কোথায়?
তাকাই,-
‘একি, আপনি এখনো একই রকম তাকিয়ে’!
মুখে তার কথা নেই,
বিস্ময় বালকের মত তাকিয়ে আমার চোখে ।
আমি বললাম ‘কী চাই?
কী চাই আপনার’?
তার ঠোট দুটো অল্প নড়ে উঠলো,
অস্ফুটে বলল ‘আপনাকে’ ।
‘আমাকে’?হেসে উঠে বললাম
‘কী করবেন আমাকে’?
সে নীরবে মাথাটি তার আমার কোলে রেখে দিল ;
যেন পাহাড় অতি সন্তর্পণে মাটির বুকে মিশে গেল,
হাতে তার এক গুচ্ছ বুনো আবেগ তখনও তির-তির করে কাঁপছে,
তখনও যে সে বিস্ময় বালক ।।
এই কবিতাটাকে জাত কবিতার স্তরে রাখা যায়।কবে বরাবরের মত এখানেও বানান ভুল দেখে কবিতাটার প্রতি বিরক্তি তৈরি হয়েছে।তখনও সে আমার চোখে তাকিয়ে অপলকে। অপলকে না বলে অপলক বললে সুন্দর শোনায়।
মন ছুঁয়েছে আকাশ না লিখে লেখা হয়েছে ‘ছুয়েছে’।
যে কথাগুচ্ছ মনকে প্রেক্ষিতে নিয়ে যায় ,ছুঁয়ে যায় , তাই হয়তো কবিতা । এটিও মনকে ছুঁয়ে গেল মুগ্ধতায় । কবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।