Skip to content

উৎসর্গ – উৎপলকুমার বসু

দয়িতা, তোমার প্রেম আমাদের সাক্ষ্য মানে নাকি?
সূর্য-ডোবা শেষ হল কেননা সূর্যের যাত্রা বহুদূর।
নক্ষত্র ফোটার আগে আমি একা মৃত্তিকার পরিত্যক্ত,বাকি
আঙুর, ফলের ঘ্রাণ, গম, যব, তরল মধু-র
রৌদ্রসমুজ্জল স্নান শেষ করি। এখন আকাশতলে সিন্ধুসমাজের
ভাঙা উতরোল স্বর শোনা যায় গুঞ্জনের মতো-
দয়িতা, তোমার প্রেম অন্ধকারে শুধু প্রবাসের
আরেক সমাজযাত্রা। আমাদেরই বাহুবল বিচূর্ণ, আহত
সেই সব সাক্ষ্যগুলি জেগে ওঠে। মনে হল
প্রতিশ্রুত দিন হতে ক্রমাগত, ধীরে ধীরে, গোধুলিনির্ভর
সূর্যের যাত্রার পথ। তবু কেন ষোলো
অথবা সতের-এই খেতের উৎসব শেষে, ফল হাতে, শস্যের বাজারে
আমাদের ডেকেছিলে সাক্ষ্য দিতে? তুমুল, সত্বর,
পরস্পরাহীন সাক্ষ্য সমাপন হতে হতে ক্রমান্বয়ে বাড়ে।

1 thought on “উৎসর্গ – উৎপলকুমার বসু”

  1. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
    তুমি – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
    ডিসেম্বর 2, 2015 ADMIN মন্তব্য দিন
    আমার যৌবনে তুমি স্পর্ধা এনে দিলে
    তোমার দু’চোখে তবু ভীরুতার হিম।
    রাত্রিময় আকাশে মিলনান্ত নীলে
    ছোট এই পৃথিবীকে করেছো অসীম।

    বেদনা-মাধুর্যে গড়া তোমার শরীর
    অনুভবে মনে হয় এখনও চিনি না
    তুমিই প্রতীক বুঝি এই পৃথিবীর
    আবার কখনো ভাবি অপার্থিবা কিনা।

    সারারাত পৃথিবীতে সূর্যের মতন
    দুপুর-দগ্ধ পায়ে করি পরিক্রমা,
    তারপর সায়াহ্নের মতো বিস্মরণ-
    জীবনকে, স্থির জানি, তুমি দেবে ক্ষমা

    তোমার শরীরে তুমি গেঁথে রাখো গান
    রাত্রিকে করেছো তাই ঝঙ্কারমুখর
    তোমার ও সান্নিধ্যের অপরূপ ঘ্রাণ
    অজান্তে জীবনে রাখো জয়ের সাক্ষর।

    যা কিছু বলেছি আমি মধুর অস্ফুটে
    অস্থির অবগাহনে তোমারি আলোকে
    দিয়েছো উত্তর তার নব-পত্রপুটে
    বুদ্ধের মূর্তির মতো শান্ত দুই চোখে।।

    Sent from my iPad

    >

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।