Skip to content

অপেক্ষা – প্রদীপ বালা

এখন তোমার সময় হয়নি মানি
সারা শহর বৃষ্টি ভিজে শেষ
তুমিও তখন জানবেও না জানি
আমার আবার অপেক্ষার অভ্যেস

সে অপেক্ষা বিছিয়েছি ঘাসে
ঘাস ফড়িং আর বাদাম খোসাও ছিল
মনের মাঝে অন্তর্যামী হাসে
মনের কথা সবাই খুঁটে খেল

খুঁটতে গিয়ে দু-এক পশলা বৃষ্টি
ভিজিয়ে দিল কাজল কালো চোখ
শহর জুড়ে ভাঙছে দেখো সৃষ্টি
শহর জুড়ে নামছে দেখো শোক

সেসব শোকই বৃষ্টি পেলে ছড়ায়
সেসব শোকের নাম জানা নেই কারো
আমিও এখন ছাতা হাতেই ঘুরি
তুমি দেখি ভিজতে চাইছ আরো

ভেজো তবে ইচ্ছে মতন খুশি
দুরে থেকেই দেখছি আমি বেশ
ধুয়ে যাক যত শব্দ পাওনা ছিল
থাকুক শুধু অপেক্ষার অভ্যেস

অপেক্ষাতে অপেক্ষাতে সময়
কখন দিল পেছন ফিরে ডাক
থাকল পড়ে সব হারাবার ভয়
জ্বলছে আগুন বৃষ্টি পুড়ে খাক

বৃষ্টি সকল ভীষণ বে-নিয়ম
চোখ থেকে চোখ ছেয়ে যাবে জানি
সে চোখ আমার তুমিও দেখেছ
তার ভেতরের বৃষ্টি দেখনি!

2 thoughts on “অপেক্ষা – প্রদীপ বালা”

  1. এই কবিতাটি অত্যন্ত সুন্দর এবং সম্বেদনশীল একটি চিত্রণ দেয়। এটি বৃষ্টির মধ্যে অপেক্ষা, ভালোবাসা, এবং কাউকে অপেক্ষা করার মনোভাব নিয়ে নিয়ে লেখা। কবি আমার অনুভবের সম্পর্কে মুখোমুখি হয়ে থাকে, আমার অপেক্ষার মনোভাব সামনে আনার জন্য। তার ভাষা সুন্দর এবং মনের কাছে স্পষ্ট। ধোঁকামুক্ত ভাবে সাধারণ মানুষের মনের অভিব্যক্তি ব্যবহার করে কবি মনে মনে পাঠাতে পারেন। সমস্ত কবিতার পাঠক নিশ্চই নিজেদের এই মুহূর্তের মনের স্থিতি সম্পর্কে চিন্তা করতে বাধ্য হবে। আমি কবিতাটি পছন্দ করেছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।