Skip to content

ত্রিকোন প্রেম – প্রভাত মণ্ডল

  • by

ত্রিকোন প্রেমের জের,
তপনের রক্তাক্ত দেহটা লুটিয়ে পড়ে মেঝের উপর।
বছর পাঁচ হল দেখাশুনা করে বিয়ে হয় তপন ও অনিতার, তাদের দেড় বছরের একটা ফুটফুটে সন্তানও আছে। সবায় বলতো ওদের মতো জুটি মেলা দায়। কিন্তু বাদ সাধে রামলোচন বাবুর বিধবা অর্থাৎ তপনের মায়ের, তিনি প্রথম থেকেই বউমার চরিত্রের দিকে আঙ্গুল তুলেন, কোনো কারণ বশত তার মনে হয়, বিয়ের আগে থেকেই তার ভাসুরপো সঞ্জয়ের সঙ্গে বউমার সম্পর্ক আছে। প্রথম দিকে এব‌্যাপারে তপনের মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হলেও, পড়ে তপনও লক্ষ করে ও মায়ে কথায় ঠিক তার প্রমান পায়। ফলে সংসারে অশান্তি বাসা বাঁধে, একদিন অশান্তি ঘর থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় নামে, পাঁড়াময় রি-ই রি-ই কান্ড, অনিতার বাড়ি পর্যন্ত‌্য এ খবর যায়।পাটী পলিটিকস জড়িয়ে পড়ে, মহিলা সমিতির কর্ত্রীরা আসেন। চলে কথা কাটাকাটি,
শেষমেষে বিধবার গায়েও হাত পড়ে বাদ পড়ে নি মেয়ে জামাইও, উঠে বধুনির্যাতনের অভিযোগ। শাসানো হয় এরপর বউমাকে কিছু বললে জেলে পাঠানো হবে।
রামলোচন বাবুর বিধবা লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মহত‌্যা করেন, বিধবার হিতাঙ্খীরা কানাঘুসো করে বলে অনিতার সঙ্গে সঞ্জয়ের সর্ম্পকের কথা।
মায়ের মৃত‌্যুর পড়ে একরকম বাধ‌্য হয়েই অনিতার সঙ্গে করতে আরম্ভ করে। মাস খানেক পড়ে সব গ্লানি ভুলে তপন সব মানিয়ে সুখে করতে মন দেয়। এদিকে দূর্গাপুজা চলে আসে, অনিতা এবারের পুজা বাপের বাড়ী দেখবে আবদার করে, একলা ঘর তাই অনিতা ও ছেলেকে শ্বশুড় বাড়ীতে পৌঁছে দিয়ে আসে।আর সেই রাতেই তপনের বাড়ীতে ডাকাত পড়ে, তপন দেহে বুলেটে বুলেটে ঝাঁঝড়া করে দেয়, কাক-পক্ষীও টের পায় না, ব্ন্দুকে সাইলেন্সর লাগানো ছিল। সকালে কাজের মেয়ে এসে দেখে দরজা খাঁ করে খোলা আর দাদাবাবুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে, গ্রাম সুদ্ধ লোক ছুটে আসে,সঞ্জয়ও অভিনয় করে বেরিয়ে আসে। বুঝতে কারোর বাকী থাকে না কার কাজ,এতদিন দেখেও না দেখার ভান করলেও আজ তারা তপনের জন‌্য জ্বলে উঠে, সঞ্জয়কে ধরে মারধর করতে আরম্ভ করে, সঞ্জয় স্বীকার করে অনিতা ও তার সর্ম্পকের কথা। আর তারা দুজনে প্ল‌্যান করে তপনকে মেরেছে। অ​নিতার বাপের বাড়ী থেকে অনিতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, অনিতা বলে সঞ্জয় তাকে ওর সঙ্গে সর্ম্পক করতে প্রলুব্ধ করে, নাহলে সে ওরকম মেয়ে ছিল না। আর বাচ্ছাটাকে চিমটি কেটে কাঁদিয়ে পুলিশের সিমপ‌্যাথি পেতে চেষ্টা করে। নের্ত্রীরা এই খবর শুনে বলে মর্মান্তিক ঘটনা, তবে দেখুন ছেলেটা কি বজ্জাত মেয়েটাকে ফুসলিয়ে ফুসলিয়ে কেমন করলো না হলে
ওই মেয়ে এমনি করতে পারে না।
নিন্দুকেরা বলল, যে ছেলে নিজের বিয়ে করা বউকে সামলাতে পারে না তাদের এই দর্শায় হয়।

মন্তব্য করুন